The path to the image is not correct.
Your server does not support the GD function required to process this type of image.
ছবি : সংগৃহীত
অফিসিয়াল কাজে মালয়েশিয়া গিয়েছিলাম। ছুটির দিনে সহকর্মীরা বের হলাম গ্যানটিং হাইল্যান্ডস যাওয়ার জন্য। ওখানে পৌঁছে টিকিট নিলাম। সে সময় খেয়াল করলাম একটি ছেলে দাঁড়িয়ে ক্লিনিং এর কাজ করছে। হাঁটু পর্যন্ত লম্বা প্লাস্টিকের জুতো পরা। চেহারাটা আমাদের মত। বয়স ২০/২২ হবে। আমার কেন জানি মনে হচ্ছিল ছেলেটা বাংলাদেশ থেকেই এসেছে। আমি ছেলেটার কাছে গেলাম।
-আর ইউ ফ্রম বাংলাদেশ?
ছেলেটা হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়লো।
-বাড়ি কোথায়?
বরিশাল।
-মালয়েশিয়া কবে এসেছেন?
তিন মাস।
-দিনে কয় ঘণ্টা কাজ করতে হয়?
১৬ঘণ্টা।
-বেতন কেমন?
২৫,০০০ টাকার কাছাকাছি।
-বসার সুযোগ কি পাওয়া যায়?
না, বসার কোন জায়গা নাই।
-ভালো লাগে এখানে?
ছেলেটা কোন উত্তর দিল না। হাত দিয়ে চোখ মুছল।
আমাদের ভেতরে ঢোকার সময় হয়ে গেল। ওর কাছ থেকে বিদায় নিলাম। ছেলেটাও ইতঃস্তত বোধ করছিল। আর কথা বাড়ালাম না।
এই ছোট বয়সে এত কষ্ট করা আসলেই অনেক কঠিন। পরিবার-পরিজনের দূরে থেকে ১৬/১৭ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে কাজ করা সহজ কথা নয়। এরপর নিজের হাতেই রান্না, কাপড় পরিষ্কার করা এসব তো রয়েছেই। দিনের ব্যাপ্তি সেই ২৪ ঘণ্টা।
আয় যে অনেক বেশি করছে সেটাও না। সেখান থেকে আবার দেশে টাকা পাঠাতে হয়। সঞ্চয় কিছুই থাকে না।
তবে আমাদের দেশের যারা প্রবাসে আসে, তারা যদি কোন বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রবাসে আসতেন, তাহলে অনেক ভালো মানের কাজ করতে পারতেন, আয়ও অনেক বেশি হত।
প্রবাসী সন্তানরা যারা বাবা-মায়ের কাছে টাকা পাঠাচ্ছেন, সেই বাবা-মায়ের উচিত সন্তানের পাঠানো টাকা থেকে কিছু টাকা তার জন্য সঞ্চয় করে রাখা। কারণ এক সময় সন্তান দেশে ফিরে আসবে। সে যেন সেই টাকা দিয়ে দেশে এসে কিছু করতে পারে।
লেখক : উপ পরিচালক, বাংলাদেশ ব্যাংক।