ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীসহ সারা দেশে প্রতিনিয়ত বাযু দূষণ, আর এই দূষণ সবচেয়ে বেশি ঢাকা শহরে। সাধারণ মানুষ ছাড়াও এই বায়ু দূষণের সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার শিশু ও এ্যাজমা রোগীরা। তবে এই দুটিন্তা থেকে কিছুটা হলেও আশার কথা শোনালেন একদল গবেষক। তারা বলছেন, নিয়মিত মাছ খেলে ৭০ ভাগ পর্যন্ত এ্যাজমার ঝুকি কমে যায়।
‘মাছে ভাতে বাঙালি’র এই মাছ প্রিয়তাই যে রীতিমতো স্বাস্থ্যকর একটি অভ্যেস সেটাই প্রমানিত হলো সম্প্রতি একটি গবেষণায়। ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ এনভারমেন্ট পাবলিক হেলথ এর প্রকাশিত একটি গবেষণামূলক প্রবন্ধে বলা হয়েছে যে, নিয়মিত মাছ খেলে অ্যাজমার ঝুঁকি ৭০% পর্যন্ত কমে যায়।
অস্ট্রেলিয়ার জেমস কুক ইউনিভার্সিটির গবেষক অ্যানড্রিস লোপাটা জানান, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের প্রভাব এর জন্য দায়ি। পলি আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট এন-থ্রী নামেও পরিচিত। মস্তিষ্ক এবং সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমের কাজ আরো ভালো ভাবে করার জন্য এন-থ্রী’র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। অন্যদিকে ভেজিটেবেল অয়েলে থাকে এন-সিক্স। যা অ্যাজমার ঝুঁকি ৬৭% পর্যন্ত বাড়িয়ে দেয়।
গবেষণাটি মোট ৬৪২ জন মানুষের উপর চালানো হয়েছে। সারা বিশ্বে ৩৩৪ মিলিয়ন মানুষ অ্যাজমার শিকার। প্রতিবছর বহু মানুষ এই অসুখে মারা যান। তাই আরো বেশি করে ফিশ অয়েল খেতে বলছেন গবেষকরা।
বাংলা/এনএস